খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ঈদ উপহার বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫, ৩:৪৩ অপরাহ্ণ
বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ঈদ উপহার বিতরণ

বরগুনা প্রতিনিধি :

বরগুনায় পলাতক স্বৈরাচারী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী দাবী করে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ জাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টার পরেও প্রশাসনের পক্ষ হতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভে ফুসে উঠছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহ বরগুনার সাধারণ মানুষ। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা আছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি।

২৯ মার্চ ২০২৫ তারিখ শনিবার অজ্ঞাত স্থানে বসে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো: আবু জাফর, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মোল্লা, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ মোল্লা, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বিতরণ কালে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ মোল্লা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গরিব, দুস্থ, অসহায় এবং আওয়ামীলীগের নিবেদিত কর্মীদের মাঝে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জয় বাংলা অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষে আজকে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে।

তার বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের তৈরি হয়েছে। ওই বক্তব্যে তিনি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বলেও দাবি করেন।

বরগুনা জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল হক মাস্টারের নেতৃত্বে শনিবার রাতে বরগুনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। বিএনপির নেতৃবৃন্দের দাবি, প্রশাসনের সহায়তায় পতিত আওয়ামীলীগ বরগুনায় পলাতক শেখ হাসিনার নামে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা। শেখ হাসিনাকে এখনো প্রধানমন্ত্রী দাবি করে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবি তাদের। এই দেশদ্রোহীদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা। গণহত্যাকারী পতিত আওয়ামীলীগের দোসরদের বরগুনায় কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, এর আগে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে গেলে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী থেকে সুপারিশ আসে। এমন অবস্থায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাদের। সূত্রটি দাবি করেন, প্রশাসনের স্বাধীন কর্মকাণ্ডে কোন সুপারিশ কিংবা আত্মীয়তার পরিচয় না দিলে এমন রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ড পরিচালনার সুযোগ পেত না পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বরগুনা জেলা শাখার আমির মাও: মুহিব্বুল্লাহ হারুন বলেন, ফেসবুকে আমি বিষয়টি দেখেছি। প্রশাসনের কাছে দলের পক্ষ থেকে দাবী করছি, জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আজকের ঘটনা আমি ফেসবুকে দেখেছি এবং তৎক্ষণিক পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাৎ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেননি। আজকের ঘটনা নতুন নয়, আওয়ামীলীগের দোসররা ধারাবাহিকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একের পর এক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। আমি মনে করি প্রশাসনের সহায়তায় এসব কাজ হচ্ছে। পুলিশ তাদের খুঁজে পায় না কিন্তু আমরা রাস্তায় বের হলেই তাদের দেখতে পাই। প্রশাসন না পারলে আমাদেরকে বলুক আমরা ধরে দিয়ে আসব।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইউনুস আলী ফরাজী বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বরগুনা, মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, প্রশাসনের উপর দায় চাপানো এটা রাজনৈতিক বক্তব্য। তারাই বলতে পারবেন এটা কেন বলেছেন। তবে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে আমরা পুলিশ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। রাষ্ট্রের যেকোনো নিরাপত্তায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সদা প্রস্তুত।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা বরগুনা জেলা যুবলীগের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে কি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আলম জানান, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। ঈদের পর অফিস খুললে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তালতলী ইকোপার্ক সংলগ্ন সোনাকাটা সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
তালতলী ইকোপার্ক সংলগ্ন সোনাকাটা সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

সাইফুল রাফিন, বরগুনাঃ

বরগুনা তালতলী উপজেলার ৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সোনাকাটা গ্রামের ইকোপার্ক সংলগ্ন একটি সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ আছে। সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (স্থানীয় নাম সোনাকাটা খাল) একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,৯৭,৬৪,৭১৫ টাকা। প্রক্রিয়া শেষে বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির দুই পাড়ের অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পরেও মাঝখানে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যর স্প্যানটি বসানো হয়নি আড়াই বছরেও।

ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছিলেন সেতুর উচ্চতা কম করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যেই খালের উপরে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি একটি ছোট খাল। কিছুসংখ্যক ছোট মাছধরা ট্রলার ছাড়া ওই নদী দিয়ে তেমন কোন জলযান চলাচল করে না। সেতুটি যে উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছে এভাবে যদি তৈরি করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক।

সোনাকাটা গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী মোঃ মহসিন বলেন, এটি একটি ছোট খাল। এই খাল দিয়ে তেমন কোনো জলযান চলাচল করে না। কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরা ট্রলার চলে। যে উচ্চতায় এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে টলার চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। কোন প্রকার লঞ্চ বা বড় টলার চলাচল করে না। সেতুর অবস্থান থেকে একটু সামনে গিয়েই খালটি শেষ হয়ে গেছে।

সোনাকাটায় বন বিভাগে কর্মরত বনরক্ষী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমি এখানে গত দেড় বছর আগে যোগদান করেছি। আমার চোখে দেখা এখানে এই নদী দিয়ে তেমন কোন বড় জলযান চলাচল করে না। এটি একটি ছোট খাল কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার ট্রলার চলাচল করে। সেতুর যে উচ্চতা আছে সেই উচ্চতায় যদি কাজ সম্পন্ন করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না।

৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন, সেতুর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবি। সেতুর কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয় এজন্য এলজিইডিতে আমরা লিখিত দাবী করেছি। যে উচ্চতায় সেতুর কাজ করা হচ্ছে এই উচ্চতায় যদি সেতুর কাজ শেষ করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না। এই নদীতে বড় কোন জলযান চলাচল করে না। কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার টলার চলে। আমাদের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জোরালো দাবি সেতুর কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ আছে। এলাকাবাসী আমাদের কাছে একটি লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন যাতে দ্রুত সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হয়। এলাকার একাধিক লোক বলেছেন যেই খালের উপরে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেই খালে ছোট ছোট কিছু মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা ছাড়া বড় কোন জলযান চলাচল করে না। এটি কোন ভারানী খাল না। আমরা এলজিইডি থেকে একাধিকবার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে সেতুটি পরিদর্শন করেছি।

বরগুনা জেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খান বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ আছে। সরেজমিনে আমি আমার টিম নিয়ে বেশ কয়েকবার সেতুটি পরিদর্শন করেছি। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন তাদের এলাকাবাসীর দাবি সেতুর কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। আমি এলজিইডির উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব সেতুর কাজটি পুনরায় শুরু করে সম্পন্ন করার। আমি ঠিকাদারের সাথেও যোগাযোগ করেছি ঠিকাদারও আগ্রহী আছে কাজ করানোর জন্য।।

এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেলেন কক্সবাজারের দেলোয়ার হোসেন সিআইপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেলেন কক্সবাজারের দেলোয়ার হোসেন সিআইপি

বিশেষ প্রতিনিধি:
গতকাল ২ মে, শুক্রবার গ্লোবাল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ফিল্ম স্টার ক্লাব এর যৌথ প্রয়াসে বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারে একটি অভিজাত রিসোর্টের অডিটোরিয়ামে ‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা, ট্যুরিজম এন্ড ফিল্ম ২০২৫, এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০ গুণীজন কে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে গ্লোবাল এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সালাম মাহমুদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান কাজল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট এর নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম ফারুক মজনু।

অনুষ্ঠানে মো. গোলাম ফারুক মজনু বলেন বিশ্বব্যাপী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করে দেশের অর্থনৈতিক, পর্যটন ও বাণিজ্যিক উন্নয়নে ‌দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক পর্যটন ও বাণিজ্যিক শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সেরা করদাতা দেলোয়ার হোসেন সিআইপি সহ বিভিন্ন গুণীজনকে পুরস্কার প্রদান করেন এবং আলোচনা শেষে নেপালের শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বরগুনায় আ.লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
বরগুনায় আ.লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনায় ২০২৩ সালে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা হয়েছে আঃলীগ নেতা কর্মী সহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে। মামলায় আরও একাধিক  অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক বরগুনা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভা মেয়র মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা মেয়র গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলা পরিষদ রেজবিউল কবির জমাদ্দার সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ১৫৮ জনকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় ইতিমধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। গতকাল রাত নয়টার দিকে আমতলী উপজেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাদলকে অন্য একটি মামলায় জামিন লাভ করে বের হওয়ার পর সামনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানার  বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা থাকায় এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বাদী এস এম নইমুল ইসলাম অভিযোগ করেন গত ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে এসে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তার অফিস কক্ষ তছনছ করে। আসবাব পত্র ইলেকট্রনিক্স ইলেকট্রিক্যাল মালামাল ভাংচুর করে সামনের সড়কে স্তুপ করে। এসময় মামলার এজাহার ভুক্ত অন্য আসামীরা গান পাউডার দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে এবং অন্য আসামীরা একাধিক হাতবোমা বিএনপি অফিসে বাহিরে ফাটায়। বাদী  অভিযোগ করেন এসময় তাদের দল সরকার পরিচালনা করায় প্রশাসনের কাছে প্রতিকার পায়নি।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, স্যাবোটাজ বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীর নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।