খুঁজুন
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন ছেলের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন ছেলের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি।

ইসহাক জুয়েল, বরগুনা।

বাবার মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সরকারি চাকরি করছেন সহকারী শিক্ষক মৃনাল কান্তি মন্ডল। তিনি তার মৃত পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে জাল সনদের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া আগারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

মৃণাল কান্তি মন্ডল বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের হোগলা পাশা গ্রামের মৃত ভবেশ মণ্ডলের পুত্র।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মৃনাল কান্তি মন্ডল নলবুনিয়া আগারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত ০৩/১২/২০১৪ তারিখ যোগদান করে নিয়মিত বেতনভাতা উত্তলন করে আসছেন।

বিষয়ে নলবুনীয়া আগাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এটিএম হারুন বলেন আমার বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মৃণাল কান্তি মন্ডল নামে একজন সহকারী শিক্ষক চাকরি করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে হোগলাপাশা গ্রামের বাসিন্দারা জানান ভবেশ মন্ডল নামে কোন ব্যাক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। নামে আমাদের এলাকায় কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মৃণাল কান্তি মন্ডল বলেন আমার বাবা ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা (সম্মানি) আমার মা উত্তোলন করেন। তার কাছে তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সব কাগজপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি আমার কাছে কোন কাগজ নাই। তার কাছে গেজেট নম্বর কত জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো গোপনীয় বিষয় সবার কাছে বলা যাবে না।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকায় পাথরঘাটা উপজেলায় ২০২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকলেও ভবেশ মন্ডল নামে কোন মুক্তিযোদ্ধার নাম সে তালিকায় পাওয়া যায়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেক মিলিটারী বলেন ভবেশ মন্ডল নামে কোন ব্যাক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি কখনও ভাতাও তুলেননি। তার সন্তানেরা কখনও আমাদের অফিস থেকে কোন প্রত্যয়ন নেননি। নামে আমাদের উপজেলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই।

বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বাশার (চঃ দাঃ) বলেন বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিদ্যালয়ের পুরনো ঐতিহ্য ফিরবে, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী ট্র্যাবের মুখপাত্র আবিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
বিদ্যালয়ের পুরনো ঐতিহ্য ফিরবে, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী ট্র্যাবের মুখপাত্র আবিদ

চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় অবশেষে ফিরে পেল তার যোগ্য প্রধান শিক্ষককে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মামলা ও বিভিন্ন জটিলতার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম অবশেষে নিজের চেয়ারে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।

 

গত ৫ বছর আগে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে বিভিন্ন অভিযোগ ও দুর্নীতির দায়ে জোরপূর্বক স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আদালতের রায় তার পক্ষেই যায় এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডও তার নির্দোষ থাকার প্রমান পায়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে তিনি পুনরায় তার দায়িত্ব গ্রহণের অনুমতি পান।

 

টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ডিএমসিআরএস এর মুখপাত্র মুহাম্মদ আবু আবিদ এই ঘটনাকে বিদ্যালয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য যে মুহাম্মদ আবু আবিদ এই বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাশ করেছেন।

 

নিজের প্রিয় বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মুহাম্মদ আবু আবিদ। তবে তার আবেগ আরও গভীর হয়ে ওঠে, যখন তিনি জানতে পারেন যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম সকল অভিযোগের বিপরীতে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করে অবশেষে তার ন্যায্য আসনে ফিরে এসেছেন। একসময় যে শিক্ষক ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান, আজ পাঁচ বছর পর তিনি ফিরে এসেছেন তার যথার্থ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে—এই সংবাদ মুহাম্মদ আবু আবিদের হৃদয়ে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করে।

 

এসময় মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন ” যোগ্য শিক্ষক তার নিজ আসনে ফিরে পাওয়াটা শুধু একজন শিক্ষকের জয় নয়, এটি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায়ের জয়। গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় আবারও সঠিক নেতৃত্বে পরিচালিত হবে বলে আমি আশাবাদী। আমি এই বিদ্যালয়ে পরপর দুইবার নির্বাচিত স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট সভাপতি ছিলাম। তাই খুব কাছ থেকে স্যারের নেতৃত্ব দেখার সুযোগ হয়েছে। আমি নিশ্চিত খুব তাড়াতাড়ি গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় পুনরায় একটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে।

 

এ বিষয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর কতটা যন্ত্রণা সহ্য করেছি তা বলার ভাষা আমার নেই। আমার সন্তানদের কাছ থেকে বিনা অপরাধে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। এটাই আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হত। আজ আমি আনন্দিত, আমার সকল সন্তানদের আবারও কাছে পেয়েছি। তবে মুহাম্মদ আবু আবিদ বিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ই বিদ্যালয়ের নাম দেশের কাছে যেভাবে উজ্জ্বল করেছে, দিনকে দিন যত যাচ্ছে তার সাফল্যে আমরা গর্বিত হই। তিনি আজ আমাদের বিদ্যালয় এসেছেন, তাতে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল ও উল্লসিত।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক আঁখি সুলতানা, দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিল, বিএমইউজে এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন, সাংবাদিক নেতা শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক সাইফ উদ্দিন রমিজ, সাংবাদিক সাফায়েত মোর্শেদসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক সংগঠক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

 

বিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের ফিরে আসার খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মো. রফিকুল ইসলামের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষককে ফিরে পেয়ে আনন্দিত। তারা বিশ্বাস করে, নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বিদ্যালয় আবারও তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাবে।

বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২৪ পেলেন আব্দুল মান্নান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২৪ পেলেন আব্দুল মান্নান

সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দ্যা ফ্রেন্ডশিপ ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের কর্ণধার আব্দুল মান্নান বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এ ভূষিত হয়েছেন।

গতকাল বাংলাদেশ গ্রিন লিফ কালচারাল ফোরাম ও গ্রিন লিভ ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে রাজধানী ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজিসি অ্যাওয়ার্ড সিজন-৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন ম্যাজিশিয়ান, বংশীবাদক জুয়েল আইচ। অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামমিট এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক মজনু।

অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী বক্তব্যে মোঃ গোলাম ফারুক মজনু বলেন, বেঁচে থাকার মাঝেই মানুষ জড়িয়ে পড়ে কেউ সুকর্মে, কেউ আবার কুকর্মে। কর্ম গুনে কেউ হয় বাবুর্চি, কেউ আবার হয় হিরোইনচি। হিরোইনচি বলা হয় একজন নেশাখোর মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে। মাদকাসক্তি নিরাময়ে সেলিব্রিটিদের এগিয়ে আসতে হবে। এখানে দেশের অনেক সেলিব্রিটিরা উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদেরকে মানুষ ফলো করেন। তাই আপনাদের বক্তব্য কিংবা আপনাদের পরামর্শ সাধারণ মানুষ সাদরে গ্রহন করবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

সম্মাননা প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান উপস্থিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “যেকোনো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত হলে সেটা অবশ্যই ভালো লাগে। এতে করে কাজের প্রতি ভালোবাসা, ভালো লাগা ও দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। কোনো নির্দিষ্ট গতিতে নিজেকে আটকে আর রাখতে চাই না। সব সময় মানব সেবার কথা মাথায় রেখে কাজ করি। ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ভালোবেসা অর্জন করতে চাই।”

২০২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ৫০ টি ক্যাটাগরিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও সেরা গায়ক হিসেবে পুরস্কার পান বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মনির খান, গুনী সিনিয়র অভিনয় শিল্পী অঞ্জনা, জনপ্রিয় চিত্র নাইকা অপু বিশ্বাস, চিত্র নাইকা তমা মির্জা, চিত্র নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দিঘি, চিত্র নায়ক ইমন, অভিনয় শিল্পী রুনা খান, অভিনয় শিল্পী কুসুম সিকদার, অভিনয় শিল্পী সখ, অভিনয় শিল্পী পারসানা ইভানা, অভিনয় শিল্পী সাইদুর রহমান পাভেল, জনপ্রিয় শিশু শিল্পী সিমরিন লুবাবা, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা, নৃত্য শিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, কোরিয়ার, ট্রেনার বুলবুল টুম্পা, ফ্যাশন মডেল সৈয়দ রুমা, ব্রান্ড প্রোমোটার বারিশ হক, ইনফ্লুয়েঞ্জার সানজিদা সায়মা, উদ্যোক্তা তাসলিমা ইসলাম, অর্গানাইজার উর্মী ইসলাম সহ বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বন্ধ এমএলএম এমটিএফই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩, ৪:০৫ পূর্বাহ্ণ
১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে বন্ধ এমএলএম এমটিএফই

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বন্ধ হয়েছে এমটিএফই নামক একটি প্রতিষ্ঠান। দুবাই ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম পঞ্জি মডেলে ব্যবসা করতো। ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী ছিল। তবে এই ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের বলে অভিমত সাইবার বিশ্লেষকদের।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে বিষয়টি দৈনিক কালবেলাকে নিশ্চিত করেন একাধিক সাইবার বিশ্লেষক এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আবদুল্লাহ আল জাবের দৈনিক কালবেলাকে বলেন, অনেকদিন থেকেই আমরা এই প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে সতর্কতা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু মানুষ লোভের ফাঁদে পড়ে এখানে টাকা দিচ্ছিল। তিন দিন আগে জানতে পারি যে, এখানে যারা টাকা দিচ্ছিলেন তারা আর টাকা উঠাতে পারছিলেন না। আজ পুরোপুরিভাবে এমটিএফই তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে।

আরেক সাইবার বিশ্লেষক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটা একটা স্ক্যাম। বাংলাদেশে তাদের কোন অফিস নেই, কোন নির্দিষ্ট জনকাঠামো নেই। স্থানীয় কিছু এজেন্টদের দিয়ে তারা মানুষের থেকে টাকা নিতো। তারপর তাদেরকে আবার অন্য বিনিয়োগকারীদের আনতে বলতো। এমএলএম বা পনজি যেভাবে কাজ করে আর কি। ডেসটিনি যেমন গাছ দেখিয়ে টাকা নিয়েছে, এরা ক্রিপ্টোকারেন্সি বলে সাধারণ মানুষদের থেকে টাকা নিয়েছে। বিনিয়োগের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুনাফা পাওয়া যাবে এমন লোভ দেখানো হতো।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, তাদের ওয়েবসাইটে ছিল, অ্যাপ ছিল। সেই অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং বা বাইন্যানসের মাধ্যমে তারা টাকা নিতো। পরে স্থানীয় এজেন্টরা সেটি বাইরে পাচার করতো। বাংলাদেশে এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মুনাফার লোভ দেখিয়ে টার্গেট করা হতো। মুন্সীগঞ্জের অনেক কিশোর এবং তরুণ এর শিকার হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি তে লেনদেন অবৈধ এবং নিষিদ্ধ।