খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৫ আষাঢ়, ১৪৩২

বরগুনায় আ.লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
বরগুনায় আ.লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনায় ২০২৩ সালে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা হয়েছে আঃলীগ নেতা কর্মী সহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে। মামলায় আরও একাধিক  অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক বরগুনা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভা মেয়র মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা মেয়র গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলা পরিষদ রেজবিউল কবির জমাদ্দার সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ১৫৮ জনকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় ইতিমধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। গতকাল রাত নয়টার দিকে আমতলী উপজেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাদলকে অন্য একটি মামলায় জামিন লাভ করে বের হওয়ার পর সামনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানার  বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা থাকায় এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বাদী এস এম নইমুল ইসলাম অভিযোগ করেন গত ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে এসে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তার অফিস কক্ষ তছনছ করে। আসবাব পত্র ইলেকট্রনিক্স ইলেকট্রিক্যাল মালামাল ভাংচুর করে সামনের সড়কে স্তুপ করে। এসময় মামলার এজাহার ভুক্ত অন্য আসামীরা গান পাউডার দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে এবং অন্য আসামীরা একাধিক হাতবোমা বিএনপি অফিসে বাহিরে ফাটায়। বাদী  অভিযোগ করেন এসময় তাদের দল সরকার পরিচালনা করায় প্রশাসনের কাছে প্রতিকার পায়নি।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, স্যাবোটাজ বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীর নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ভয়াবহ ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা, ক্রমশ বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৭:৫১ অপরাহ্ণ
ভয়াবহ ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা, ক্রমশ বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

হাফিজুর রহমান, বরগুনাঃ

দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে উপকূলীয় জেলা বরগুনায়। ক্রমশ বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে ভয়াবহ ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ১৩টি তাজা প্রাণ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসক সংকট, অপর্যাপ্ত ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর সংকট পরিস্থিতিকে আরো বেশি বিপদাপন্ন করে তুলছে। সংকট মোকাবেলায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সবশেষ বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ লা জানুয়ারি থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বরগুনায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৭৭০ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৫৭৮ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫৮ জন। সরকারি হিসাবে মৃত্যবরণ করেছেন ৫ জন। এছাড়াও ঢাকা ও বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরগুনার বাসিন্দা মৃত্যুবরণ করেছেন ৮ জন। এই রোগীর অধিকাংশই বরগুনা পৌর শহর ও সদর উপজেলার বাসিন্দা। একই সাথে জেলার পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী, আমতলী ও তালতলীতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ।

সোমবার (১৬জুন) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ওয়ার্ডেই শয্যার সংকট দেখা দিয়েছে। বহু রোগীকে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। নারী ও শিশু ওয়ার্ডসহ মেডিসিন ইউনিটেও একই অবস্থা। অনেক রোগীকে বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে রাখা হয়েছে। এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। শয্যার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে রক্ত পরীক্ষার কিট এবং স্যালাইনের সংকট। অনেক রোগীকেই বাইরে থেকে টেস্ট করাতে  হচ্ছে।

রোগীর স্বজনরা  বলেন, মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। জায়গা নেই, ডাক্তার-নার্সরাও খুব ব্যস্ত। আবার হাসপাতালের ল্যাবে টেস্ট করা যাচ্ছে না, বাইরেই করাতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে স্যালাইনও বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে।” এখানকার পরিবেশটা অনেক খারাপ কারণ হচ্ছে এত পরিমাণে রোগী এখানে পা রাখার জায়গা নেই। সুস্থ লোক আসলে অসুস্থ হয়ে পড়বে এখানে।

হাসপাতালের তথ্য মতে রোগীর চাপ সামাল দিতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ দ্রুত সরবরাহ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৮ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্স পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও স্যালাইন ও রক্ত পরীক্ষার যে কিট সংকট তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বরগুনায় ষড়যন্ত্রমূলক বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
বরগুনায় ষড়যন্ত্রমূলক বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ইসহাক জুয়েল, বরগুনা:
প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সঞ্জয় মিস্ত্রীর ষড়যন্ত্রমূলক বদলি প্রত্যাহার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বরগুনা সদর উপজেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা।

‎আজ রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, সমাজকর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

‎মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন যে, সঞ্জয় মিস্ত্রিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে, যা প্রতিবন্ধী জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। তারা দাবি করেন, সঞ্জয় মিস্ত্রি তার দায়িত্ব পালনকালে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন এবং তার বদলি প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

‎প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা বলেন, সঞ্জয় মিস্ত্রি মানুষ না সে দেবতা। তিনি নিজ হাতে আমাদের সেবা দেন বিনিময়ে তিনি কোন টাকা নেন না তার আলাদা কোন চেম্বার নেই। ডা. রফিকুল ইসলাম এর কাছে গেলে সেবা কেন্দ্রে সেবা না দিয়ে তার প্রাইভেট চেম্বারে যেতে বলেন। আর অন্য যারা আছেন তাদের আলাদা চেম্বার আছে তারা সেই চেম্বারে যেতে বলে। তার বদলি আদেশ বাতিল না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি জানাবেন। তারা সরকারের কাছে প্রতিবন্ধী জনগণের অধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

‎মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে স্লোগান দেন এবং প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ‎মানববন্ধন শেষে তারা বরগুনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

‎এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন,আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ‎মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগণের অধিকার রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের কাছে তাদের দাবি পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বরগুনায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৪:২১ অপরাহ্ণ
বরগুনায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি

খান নাঈম, বরগুনা:
বরগুনায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরগুনা জেলা ও সদর উপজেলা বিএনপি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ স্থানীয় একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ৯ টায় পৌর মার্কেট ও আল মিজান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী কর্মীরাসহ সর্বস্তরের জনগণ। পরে একই স্থানে বেলা ১১ টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরগুনা জেলা ও সদর উপজেলা বিএনপি।

জানা যায়, সারা বাংলাদেশের চার ভাগের এক ভাগ ডেঙ্গু রোগী বরগুনায়। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তার মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে ৩ জনের এবং বাকিরা অন্যান্য হাসপাতালে।

এদিকে জেলার ১২ লাখ মানুষের জন্য একমাত্র চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ১০ জন তার মধ্যে ছুটিতে আছেন পাঁচ জন। এসব নানা কারণে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরগুনা জেলা ও সদর উপজেলা বিএনপিসহ স্থানীয় একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।

এসময় বরগুনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বক্তারা বলেন, বরগুনার জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে বরগুনায় তাদের সহকর্মী স্থানীয় উদ্যোক্তা মোনালিসা জেরিন এবং কিশোরী উপমাসহ ১০ জনেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে ডেঙ্গু। যে কোন সময় এ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেতে পারে। শত শত মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। যার সামাল দেয়া পুরো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হবে না।

প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, সারা বাংলাদেশে যেখানে সাড়ে ৪ হাজার রোগী সেখানে শুধুমাত্র বরগুনা জেলায় দেড় হাজার ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বরগুনার সিভিল সার্জন সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকগণ কিছুতেই ছুটিতে যেতে পারেন না। মাত্র ১০ জন ডাক্তার নিয়ে এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানো হাস্যকর। তাই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই বরগুনা প্রেসক্লাবের মধ্যস্থতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফোরাম গঠন করা হয়েছে। করণীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পৌর প্রশাসনের সাথে একাধিক আলোচনা সভা করা হয়েছে। এতেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। নজিরবিহীন ডাক্তার ও নার্স সংকটের কারণে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না।

বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ডেঙ্গু মশার ভয়াবহ উপদ্রব এবং বরগুনার চিকিৎসা সেবার অচল অবস্থার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বরগুনায়। অথচ রাষ্ট্রের মাথাব্যাথা নেই। এভাবে একটি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চলতে পারে না।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বরগুনা পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলেরই দায়িত্বহীনতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সচিব কেন বরগুনায় আসলেন না, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কেন আসলেন না তার জবাব দিতে হবে জনগণের কাছে। এসব ব্যর্থতার দায় দিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এপর্যন্ত জেলায় ১৫শ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে ১৫৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। এরইমধ্যে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার কন্যা উপমা এবং সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল হাসান ফরহাদ-এর কন্যা মোনালিসা জেরিনসহ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের অকাল মৃত্যুকে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলাজুড়ে। এরপরেও বরগুনা জেলাকে ডেঙ্গু হটস্পট হিসেবে ঘোষণা না করায় এবং জরুরী  ব্যবস্থা না নেয়ায় রাস্তায় নেমেছে বরগুনার সাধারণ জনগণ।