
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পৌর এলাকার ছাব্বিশা গ্রামের কৃষক আরশেদ আলী। প্রতি বছর তার নিজ বাড়ির আঙিনার ৩৩ শতক জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষ করে আসছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সেই জমিতে এবছর তিনি পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। আরশেদ অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে রঙিন ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। অপরদিকে রঙিন জাতের ফুলকপির কথা শুনে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ফুলকপি দেখতে ভিড় করছেন বাগান গুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ফলদা, অর্জুনা ও পৌরসভার সবজির জমিতে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করছেন চাষিরা। হাট-বাজারে নেয়ার আগেই বাগান থেকে কিনে নিচ্ছে পাইকাররা।
এদিকে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে প্রতিটি সাধারণ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, আর সেখানে রঙিন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে রঙিন ফুলকপি।
রঙিন ফুলকপি চাষি আরশেদ বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্যারের পরামর্শে কৃষি অফিস থেকে নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির ৪০০ চারা, জৈব সার ও পোকাদমন কীটনাশকসহ সব ধরনের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছি। এতে চার রঙের ফুলকপি রয়েছে। ফসলের খেতে কীটনাশক সার ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। চারা রোপণের ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে জমিতে পূর্ণাঙ্গভাবে ফসল পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এসব রঙিন ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ নানান পেশার মানুষ আমার জমিতে আসছেন ফুলকপি দেখার জন্য। বাজারে অন্যান্য কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে আমি দ্বিগুণ লাভ পাচ্ছি। এরপর থেকে আমার সকল জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর জানান, উপজেলায় এই প্রথম রঙিন জাতের ফুলকপি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথতে কেউ আগ্রহী ছিল না। পরে আরশেদ আলী নামে এক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করলে তার সবজির জমিতে চাষ করেন। উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় চার ধরনের ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। হাট বাজারে অন্যান্য ফুলকপির চেয়ে দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেক কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।