
নাহিদা আক্তার পপি, ঢাকা : রাজশাহীতে কথিত সম্পাদক ইমদাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি। নাম তার ইমদাদুল হক (ইমদাদ) কখনোও তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, কখনোও তিনি ডিবি পুলিশ অফিসার, কখনোও তিনি কথিত নিউজ পোর্টাল সংবাদ চলমান’র কথিত সম্পাদক কখনোও তিনি অনিবন্ধিত টিভি চ্যানেল সংবাদ চলমান টিভির কথিত চেয়ারম্যান আবার কখনোও নিজেকে বড় মাপের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় প্রদান করেন।
অবশেষে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় প্রদান কারী এই কথিত সম্পাদক ইমদাদ ও তার সহোযোগীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ আইনে দুজন নারী ভুক্তভোগী রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা ও মতিহার থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার দুটি যথাক্রমে (১৯/৪৬) মতিহার ও (১৬/৩৮) চন্দ্রিমা। মামলার ধারা -১০ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ (সংশোধীত ২০২০) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ ; পেনাল কোড ১৮৬০ ও ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধনী (২০০৩, ২০২০) এর ১০ সহ পেনাল কোড ১৪৩, ৪৪৮, ৫০৬ তংসহ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮ (০১)- ৮(০২)- ৮(০৩) ।
সরজমিনে অনুসন্ধানে করে গিয়ে জানা যায় কথিত সম্পাদক ইমদাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজলা গেইটের সিয়ামুন রেস্টুরেন্টের টিনসেড বিশিষ্ট দুই রুম ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে সংবাদ চলমান নামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টিভি চ্যানেল খুলে নানা প্রকার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
নাম তার ইমদাদুল হক (ইমদাদ) কখনোও তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, কখনোও তিনি ডিবি পুলিশ অফিসার, কখনোও তিনি কথিত নিউজ পোর্টাল সংবাদ চলমান’র কথিত সম্পাদক কখনোও তিনি অনিবন্ধিত টিভি চ্যানেল সংবাদ চলমান টিভির কথিত চেয়ারম্যান আবার কখনোও নিজেকে বড় মাপের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় প্রদান করেন।
অবশেষে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় প্রদান কারী এই কথিত সম্পাদক ইমদাদ ও তার সহোযোগীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ আইনে দুজন নারী ভুক্তভোগী রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা ও মতিহার থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার দুটি যথাক্রমে (১৯/৪৬) মতিহার ও (১৬/৩৮) চন্দ্রিমা। মামলার ধারা -১০ নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ (সংশোধীত ২০২০) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ ; পেনাল কোড ১৮৬০ ও ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধনী (২০০৩, ২০২০) এর ১০ সহ পেনাল কোড ১৪৩, ৪৪৮, ৫০৬ তংসহ পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮ (০১)- ৮(০২)- ৮(০৩) ।
সরজমিনে অনুসন্ধানে করে গিয়ে জানা যায় কথিত সম্পাদক ইমদাদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজলা গেইটের সিয়ামুন রেস্টুরেন্টের টিনসেড বিশিষ্ট দুই রুম ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে সংবাদ চলমান নামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টিভি চ্যানেল খুলে নানা প্রকার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
এই কথিত সম্পাদক ইমদাদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টিভি চ্যানেলের অন্তড়ালে রমরমা চাঁদাবাজি, মাদক চোরাকারবারি, নারী কেলেংকারী, নারী পুরুষ উভয়ই ব্লাকমেইল করে অঢেল অর্থ উপার্জনের একটি আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছিলেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন দৈনিক অধিকার পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি মোঃ রাফিকুর রহমান ওরফে লালু ও রাজশাহীর এশিয়ান টিভি’র সাংবাদিক মোঃ সোহাগ আলী সহ আরো অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজন।
মামলা সূত্রে জানা যায় যে, কথিত সম্পাদক ইমদাদ ও তার সহকর্মীরা রাফিকুর রহমান ওরফে লালু, সোহাগ আলী সহ আরোও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন জন ব্যক্তিকে নিয়ে একজন নারী ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে জোরপূর্বক দরজা ধাক্কা দিয়ে অনুমতি ছাড়ায় তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ক্যামেরা এবং মোবাইল দিয়ে ভুক্তভোগীর শরীর অপ্রস্তুত থাকা অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিডিওটি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে এ ধারণকৃত ভিডিওটি কথিত সংবাদ চলমান টিভি নামক পোর্টাল, আরডিটিভি ২৪, এবং পল্লী টিভি অনলাইন টিভি পোর্টাল এ ভুক্তভোগীর শরীরে ভিডিও সহ কথা এডিট করে মানহানিকর সংবাদ ভুক্তভোগী, দূর্জয় ও জুলেখার নামে প্রচার করে। সংবাদটি প্রচার হওয়ার পর ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন রকম ব্লাকমেইল, জান ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন, বিধায় ভুক্তভোগী নিরাপত্তাহীনতায় ও মানহানিকর পরিস্থিতিতে ভুগিতেছেন।
আরও একটি মামলা সুত্রে জানা যায় যে, ২য় নারী ভুক্তভোগীকে ইমদাদ তার সংবাদ চলমান টিভি নামক অনলাইন পোর্টালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে ২য় ভুক্তভোগী কিছুদিন কাজ করার পরে বুঝতে পারেন যে কথিত সম্পাদক ইমদাদ সাংবাদিকতার আড়ালে একজন চাঁদাবাজ এবং অফিসে মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয়, সেই ধারাবাহিকতায় ইমদাদ ভুক্তভোগীর দিকে কুু- নজর সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের কু-প্রস্তাব দেয়। তার এই কুকর্মের সহযোগী পাটনার ছিলেন দৈনিক অধিকার পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি মোঃ রাফিকুর রহমান ওরফে লালু, এশিয়ান টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি সোহাগ আলী সহ অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজন।
অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়দানকারী গরু চোর দিয়ে তার জীবন শুরু করে কারণ সে উত্তররাধীকারি সূত্রে সে একজন গরু চোর। তার বাবাও গরু চোর এবং তার আপন ভাই ডাকাত দলের সদস্য। কেউ কারো থেকে কম যায় না। সে দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে এলাকার গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা খায়। তখন বেধরক গণপিটুনি খেয়ে পাবনা চলে যায়। সেখানে গিয়েও থেমে থাকেনি এই ইমদাদের কু-কর্ম । সেখানেও গরু চুরি করে গণপিটুনি খেয়ে রাজশাহীতে পালিয়ে যায়। অভ্যস কি আর সহজে মোছা যায়। রাজশাহীতেও এনদা চোরা ওরফে ইমদাদ তার চুরি, ডাকাতি, নারী কেলেংকারী মতো নিকৃষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। রাজশাহীতে তার নামে অসংখ্য মামলাও রয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে দূর্জয় নামক এক ভুক্তভোগীর কাছে তিনি ডিবি পুলিশের অফিসার বলে পরিচয় প্রদান করে ভয়ভীতি দেখান। অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে এসেছে যে, তিনি ভূয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা করতেন।
তার অপকর্ম নিয়ে দেশের বিভিন্ন সুনামধন্য নিউজ পোর্টালে বিভিন্ন শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র ১- ডিবিসি জার্নাল ২৪.কম,, (১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) শিরোনাম; এক গরু চোরের ছেলের কথিত সাংবাদিক হয়ে ওঠার আত্মাকাহিনী