০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার পতনের মাসপূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে এদিন সারাদেশে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুদারসহ অন্য সমন্বয়করাও উপস্থিত রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল পুরো বাংলাদেশে আবারও শহীদ ও আহত ভাইদের স্মরণে, তাদের স্মৃতি ধারণ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এই কর্মসূচি পালিত হবে। সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় ‘শহীদি মার্চ’ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে। নীলক্ষেত হয়ে কলাবাগান, এরপর মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ফার্মগেট হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ আগস্ট সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। সেদিন রংপুরে আবু সাঈদসহ ছয়জন মারা যান। পরের কয়েক দিনের আন্দোলনে পুলিশের গুলি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় শত শত মানুষ নিহত হন। মাঝে ইন্টারনেট বন্ধ এবং কারফিউ জারি করে আন্দোলন কিছুটা স্থিমিত করলেও আগস্টের শুরুতে তা আবার ভয়াবহ রূপ নেয়।

অবশেষে ৫ আগস্ট আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এই আন্দোলনে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের একটি বড় অংশ ছাত্র।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

অনলাইন ডেস্ক

নিজের চাটুকারিতার কথা স্বীকার করে যা বললেন জয়

সরকার পতনের মাসপূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৩:১৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে এদিন সারাদেশে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুদারসহ অন্য সমন্বয়করাও উপস্থিত রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল পুরো বাংলাদেশে আবারও শহীদ ও আহত ভাইদের স্মরণে, তাদের স্মৃতি ধারণ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এই কর্মসূচি পালিত হবে। সেখানে আহত এবং শহীদদের অভিভাবকদেরও অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

কেন্দ্রীয়ভাবে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় ‘শহীদি মার্চ’ শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে। নীলক্ষেত হয়ে কলাবাগান, এরপর মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ফার্মগেট হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ আগস্ট সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়। সেদিন রংপুরে আবু সাঈদসহ ছয়জন মারা যান। পরের কয়েক দিনের আন্দোলনে পুলিশের গুলি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় শত শত মানুষ নিহত হন। মাঝে ইন্টারনেট বন্ধ এবং কারফিউ জারি করে আন্দোলন কিছুটা স্থিমিত করলেও আগস্টের শুরুতে তা আবার ভয়াবহ রূপ নেয়।

অবশেষে ৫ আগস্ট আন্দোলনের চাপে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এই আন্দোলনে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের একটি বড় অংশ ছাত্র।