০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত।

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: ০৬:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 62

ঢাকা অফিস:

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার হাজী মার্কেটে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে শেখ শাহ্ সুফি মিজানুর রহমান চিশতির দরবার শরীফে পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও নায়েবে আমির গরিবের নেওয়াজ হরযত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরবার শরীফের ৫৩ তম মাহ্ফিল উপলক্ষে আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামালের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বয়ান করেন হযরত মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমেদ (দা : বা প্রিন্সিপাল দারুল ফালাহ্ মাদ্রাসা, বিশেষ আলোচক হিসেবে বয়ান করেন হাফেজ মাওলানা সাদিক হুসাইন, প্রিন্সিপাল তাহফিজুল  কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসা। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ঢাকা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ফরিদ আহমেদ  চিশতির ।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম আহমেদ, এস এম মনিরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক কে এম  মোহাম্মদ হোসেন রিজভী,তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হাবিবুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ রিপন মিয়া, মোঃ মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন রাজু, মো: সাইদুল ইসলাম, আক্তার হোসেন বাবুল মোল্লা, নুরুল ইসলাম,কালাম (সৌদি-আরব), সাত্তার, হারুন, শিহাব , শহিদুল, সাচ্চু, বাবু, জনি প্রমূখ। এ সময় বক্তারা বলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম ও ওফাত দিবসে তার কর্মময় জীবন আদর্শের স্মরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমগ্র বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির রহমত স্বরূপ প্রেরিত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ঠিক একই তারিখে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।

 

এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সমগ্র আরবে বিরাজ করত নানারূপ ধর্মীয় অনাচার, কুসংস্কার ও পাপাচার লিপ্ত। ইসলামের ধারণায় এ সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ। ‘আইয়াম’ শব্দের অর্থ সময় বা যুগ ও ‘জাহেলিয়া’ শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা তমসা। সুতরাং আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে ‘তমসা’ বা ‘অজ্ঞতার যুগ’ বুঝায়। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে পৃথিবীতে শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেন। তার জীবনাদর্শ (সুন্নাহ) ইসলামের ভিত্তি। মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের পূর্বেই তার পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি তার মাকে হারানোর পর প্রথমে তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন। মহানবী (সা.) অল্প বয়সে হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খাদিজা (রা.) নামের এক ধণাঢ্য নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন ও আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করেন।

 

হযরত মহানবী সাঃ এর স্বপ্নে আদেশ করেন চিশতী নগরের হিন্দুস্তান যাওয়ার জন্য গরিবের নেওয়াজ হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী আজমীর শরীফে স্থান। তার দরবারের সেবক হিসেবে ৬৩ বছর সেবা করেন শেখ শাহ সুফি মিজানুর রহমান চিশতী, সেখান থেকে খেলাফত লাভ করেন এবং আদেশ পেয়ে বাংলাদেশে এই মাহফিল ও নবীজি ও খাজার জীবনী নিয়ে প্রতিবছরের ১২ রবিউলে আওয়াল ইসলামী জলসার কাজ করে থাকেন। শেখ শাহ সুফি মিজানুর রহমান চিশতী চলমান জীবিত ১১২ বছর ৫৩ তম মাহফিল সমাপ্ত করলেন তার জন্য দেশবাসী সকলে দোয়া করবেন আমিন ।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত।

আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত: ০৬:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা অফিস:

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার হাজী মার্কেটে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে শেখ শাহ্ সুফি মিজানুর রহমান চিশতির দরবার শরীফে পবিত্র ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও নায়েবে আমির গরিবের নেওয়াজ হরযত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দরবার শরীফের ৫৩ তম মাহ্ফিল উপলক্ষে আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামালের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বয়ান করেন হযরত মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমেদ (দা : বা প্রিন্সিপাল দারুল ফালাহ্ মাদ্রাসা, বিশেষ আলোচক হিসেবে বয়ান করেন হাফেজ মাওলানা সাদিক হুসাইন, প্রিন্সিপাল তাহফিজুল  কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মাদ্রাসা। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ঢাকা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ ফরিদ আহমেদ  চিশতির ।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শামীম আহমেদ, এস এম মনিরুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক কে এম  মোহাম্মদ হোসেন রিজভী,তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হাবিবুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ রিপন মিয়া, মোঃ মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন রাজু, মো: সাইদুল ইসলাম, আক্তার হোসেন বাবুল মোল্লা, নুরুল ইসলাম,কালাম (সৌদি-আরব), সাত্তার, হারুন, শিহাব , শহিদুল, সাচ্চু, বাবু, জনি প্রমূখ। এ সময় বক্তারা বলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম ও ওফাত দিবসে তার কর্মময় জীবন আদর্শের স্মরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমগ্র বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির রহমত স্বরূপ প্রেরিত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোলে জন্ম নেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ঠিক একই তারিখে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।

 

এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। সমগ্র আরবে বিরাজ করত নানারূপ ধর্মীয় অনাচার, কুসংস্কার ও পাপাচার লিপ্ত। ইসলামের ধারণায় এ সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ। ‘আইয়াম’ শব্দের অর্থ সময় বা যুগ ও ‘জাহেলিয়া’ শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা তমসা। সুতরাং আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে ‘তমসা’ বা ‘অজ্ঞতার যুগ’ বুঝায়। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তি ও তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে পৃথিবীতে শেষ নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেন। তার জীবনাদর্শ (সুন্নাহ) ইসলামের ভিত্তি। মুহাম্মাদ (সা.)-এর জন্মের পূর্বেই তার পিতা আব্দুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি তার মাকে হারানোর পর প্রথমে তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন। মহানবী (সা.) অল্প বয়সে হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খাদিজা (রা.) নামের এক ধণাঢ্য নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন ও আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করেন।

 

হযরত মহানবী সাঃ এর স্বপ্নে আদেশ করেন চিশতী নগরের হিন্দুস্তান যাওয়ার জন্য গরিবের নেওয়াজ হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী আজমীর শরীফে স্থান। তার দরবারের সেবক হিসেবে ৬৩ বছর সেবা করেন শেখ শাহ সুফি মিজানুর রহমান চিশতী, সেখান থেকে খেলাফত লাভ করেন এবং আদেশ পেয়ে বাংলাদেশে এই মাহফিল ও নবীজি ও খাজার জীবনী নিয়ে প্রতিবছরের ১২ রবিউলে আওয়াল ইসলামী জলসার কাজ করে থাকেন। শেখ শাহ সুফি মিজানুর রহমান চিশতী চলমান জীবিত ১১২ বছর ৫৩ তম মাহফিল সমাপ্ত করলেন তার জন্য দেশবাসী সকলে দোয়া করবেন আমিন ।