শারীরিক উপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের যে সংখ্যা আছে, তাদের অধিকাংশ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকার আওতায় চলে আসবে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে টিকার কাজও চলবে। তবে আমরা আশা করছি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমলে সেপ্টেম্বরে শারীরিক উপস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কিয়দংশ (সামান্য) খুলতে পারবো।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেছেন।এদিকে গত মার্চে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।
টিকার জন্য নিবন্ধন ও যে সব শিক্ষার্থীদের এনআইডি নেই তাদের বিষয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণায়লের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সেখানে বলে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করছি। তবে শিক্ষার্থীরা এনআইডি অথবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকলে বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরও টিকা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনার কথা জানালেও মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে হয়েছে।
এদিকে সরকারের শেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ী ও কওমী মাদ্রাসার চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।