খুঁজুন
বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আইটিপল্লী নিউজ-১ ডেমো নিউজ থ্রী

অনলাইন ডেস্ক ।।
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
আইটিপল্লী নিউজ-১ ডেমো নিউজ  থ্রী

আমি খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে রিয়া। আজ আমার অষ্টম মঙ্গলা। মনটা আমার বেশ খুশি খুশি এটা কখনোই বলতে পারবো না। না, আপনারা যা ভাবছেন ভুল। আপনারা বলবেন বিয়েটা তো আমি নিজেই নিজের ইচ্ছেয় করেছি তাহলে আপত্তিটা কোথায়?

যেটুক খুশি আমায় দেখছেন সেটা আমি বাপের বাড়ি যাচ্ছি বলে শুধু মনটা খুশি। কিন্তু আগামী পরশু আমি আর আমার বর বাবাজীবন যাচ্ছি প্রথমবার একসাথে ঘুরতে থুড়ি মধুচন্দ্রিমা যাপনে। তাই এতো চিন্তা। আসলে অভি আমার ফোনে কথা বলছে না ঠিক মতো সেই বিয়ে দিন থেকে। অথচ ওর কথা বিয়েটা আমি করলাম।

ও হ্যাঁ ভুলেই গেছি, আপনাদের সাথে তো আমার বরের এখনো পরিচয় করাইনি। আমার বর বুবাই দা। আমাদের পরিচয় প্রায় সাত বছর হতে চলল। সেই যখন ক্লাস নাইন আমি যাচ্ছিলাম ঝড়ের বেগে সাইকেল চালিয়ে টিউশন পড়তে। তখন আমি সাইকেল চালানোতে ছেলেদেরও হার মানাই। তো সেই ঝড়ের বেগের সাইকেল এ ধাক্কা লাগলো এক শান্ত সৌম্য নিরীহ ছেলের। সেই ছেলেটিই এই আমার পতিদেব মিস্টার মানব মন্ডল। বিদেশে চাকরি করে কিছু পয়সা-করি করে আজ আমাকে বিয়ে করে জীবনে সবচেয়ে বড় কিছু পাওয়া হয়ে গেছে বলে দাবি করছে।

আজকাল বুবাই হাসতে হাসতে বলে “ধাক্কাটা সেদিন শরীরে লেগেছিল না হৃদয়ে কে জানে”। যাক গে ওর কথা বাদ দিন। তো সেই ঘটনার পর অনেক ওঠানামা আর ভুল বোঝাবুঝি ঠিক বোঝাবুঝির পর আজ আমাদের অষ্টম মঙ্গলা। সে গল্প না হয় আর এক দিন করব। ফিরে আসি আজকের দিনে। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল যে আমি অভি সাথে হানিমুন যাবো পাহাড়ে। আমার এই ‘আপাত শান্ত মনের দুরন্ত’ বর কে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো।

কিন্তু অভি ফোন ধরছে না কেন? ও বলেছিলো দার্জিলিং যে হোটেলটা ও বুকিং করেছে সেটা ওর বিশেষ জানাশোনা। বুবাই এর গল্পটি ওখানে শেষ করে আমি ওর সম্পত্তিতে রাজ করবো। আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু এখন মনটা মানছে না। একটা মানুষের জীবন শেষ করে দেবো, লোকটা তো আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।

যাক বাঁচা গেলো আজ আমার জন্মদিন। সারপ্রাইজ হিসেবে একটা দলিল উপহার দিয়েছেন বুবাই আমাকে। লাটাগুড়িতে একটা কটেজ কিনেছেন উনি আমার জন্য হানিমুনে যাবো আমরা ওখানেই। সারাদিন বেশ ভালো কাটলো কিন্তু মন খারাপ হলো বিকাল বেলায়।

আমার আর উনার মামাতো বোন অয়ন্তিকার জন্মদিন এক দিনে বিকালে একটা সারপ্রাইজ পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই আমার জন্য ছিলো আরো একটা সারপ্রাইজ। অভি আর অয়ন্তিকার এঙ্গেজমেন্ট। অথচ আমাদের বিয়েতেই ওদের আলাপ। শিল্পপতির মেয়ে বলে বোধহয় অতো তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে অভি।

বাড়ি ফিরে মনটা কিছুতেই ভালো করতে পারলাম না। শুয়ে পরলাম। উনি বললেন “তোমার মোবাইলটা দেবে একটু একটা গেমস খেলবো। দিয়ে দিলাম।” কি ধরণের মানুষ এই লোকটি কে জানে! কি ধাতুর তৈরি কে জানে? আজ উনি অভি আর আমার ঝগড়াটা দেখেছেন। অভি স্পষ্ট বলেছে, আমি বুবাইকে ঠকিয়েছি তাই ও আমাকে ঠকিয়ে কোনো ভুল করেনি।

সকাল বেলায় উঠে আরো একটা সারপ্রাইজ। অভি আয়ন্তিকাও আসলো আমাদের সাথে। দিনটা ভালো কাটলো। মানে আমি চেষ্টা করলাম সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে। অভি বোধহয় আমাকে কোনদিন ভালোবাসে নি। ও বেশ নির্লিপ্ত। অয়ন্তিকাকে খুশি করতে ব্যাস্ত। আয়ন্তিকা হঠাৎ ঠিক করলো বাইক রেসিং করবে। আমি আপত্তি করলাম ঠিকই কিন্তু বুবাই এর ওপর জোর খাটানোর অধিকার বোধহয় আমার হয়নি এখনো। তাই বেশি জোর ফলাতে চাইলাম না। তবে মনে মনে চাইলাম একটা দিনের জন্যে হিরো হোক সবার চোখে।

কিন্তু রেসিং কোন ফল এলোনা। কারণ অভি এক্সিডেন্ট করলো। সন্ধ্যায় অয়ন্তিকা এলো সাথে এলো চাকর ভাবলারাম। জানতে পারলাম ভ্যাবলারাম আসলে অয়ন্তিকার বন্ধু রাজীব সিনহা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। অভির মোবাইল থেকে, আমার ছাড়াও আরো ছয় সাতটি মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও , ছবি ডিলিট করা হয়েছে। যাদেরকে ও নিয়মিত ব্লাকমেইল করতো। অভি হয়তো বাঁচবে না। বেঁচে গেলেও আইনের হাত থেকে ওর রক্ষা নেই, কারণ ওর ব্লেকমেইলের ভয়ে আত্মাহত্যা করছে অয়ন্তিকার বান্ধবি সোনালী। ওর চলে যেতেই বুবাই একটা গোলাপ ফুল নিয়ে আমাকে উপহার দিলো। আর বললো গোলাপটা তুলতে গিয়ে সে নাকি অনেক গুলো কাটার আঘাত পেয়েছেন। সেটা দেখালো। আমি জিজ্ঞেস করলাম “আপনি আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসেন”

ও বললো ” তোমার জন্য আমি জীবন দিতে পারি ,আবার নিতেও পারি।”

আমার চোখে জল এসে গেলো।

তালতলী ইকোপার্ক সংলগ্ন সোনাকাটা সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ৭:০০ অপরাহ্ণ
তালতলী ইকোপার্ক সংলগ্ন সোনাকাটা সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবি এলাকাবাসীর

সাইফুল রাফিন, বরগুনাঃ

বরগুনা তালতলী উপজেলার ৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সোনাকাটা গ্রামের ইকোপার্ক সংলগ্ন একটি সেতুর কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ আছে। সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (স্থানীয় নাম সোনাকাটা খাল) একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬,৯৭,৬৪,৭১৫ টাকা। প্রক্রিয়া শেষে বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির দুই পাড়ের অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পরেও মাঝখানে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যর স্প্যানটি বসানো হয়নি আড়াই বছরেও।

ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছিলেন সেতুর উচ্চতা কম করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যেই খালের উপরে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি একটি ছোট খাল। কিছুসংখ্যক ছোট মাছধরা ট্রলার ছাড়া ওই নদী দিয়ে তেমন কোন জলযান চলাচল করে না। সেতুটি যে উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছে এভাবে যদি তৈরি করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক।

সোনাকাটা গ্রামের মৎস ব্যবসায়ী মোঃ মহসিন বলেন, এটি একটি ছোট খাল। এই খাল দিয়ে তেমন কোনো জলযান চলাচল করে না। কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরা ট্রলার চলে। যে উচ্চতায় এই সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে তাতে টলার চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। কোন প্রকার লঞ্চ বা বড় টলার চলাচল করে না। সেতুর অবস্থান থেকে একটু সামনে গিয়েই খালটি শেষ হয়ে গেছে।

সোনাকাটায় বন বিভাগে কর্মরত বনরক্ষী মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমি এখানে গত দেড় বছর আগে যোগদান করেছি। আমার চোখে দেখা এখানে এই নদী দিয়ে তেমন কোন বড় জলযান চলাচল করে না। এটি একটি ছোট খাল কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার ট্রলার চলাচল করে। সেতুর যে উচ্চতা আছে সেই উচ্চতায় যদি কাজ সম্পন্ন করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না।

৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন, সেতুর কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবি। সেতুর কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয় এজন্য এলজিইডিতে আমরা লিখিত দাবী করেছি। যে উচ্চতায় সেতুর কাজ করা হচ্ছে এই উচ্চতায় যদি সেতুর কাজ শেষ করা হয় তাহলে এলাকাবাসীর কোন সমস্যা হবে না। এই নদীতে বড় কোন জলযান চলাচল করে না। কিছু সংখ্যক ছোট মাছ ধরার টলার চলে। আমাদের এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জোরালো দাবি সেতুর কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ আছে। এলাকাবাসী আমাদের কাছে একটি লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন যাতে দ্রুত সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হয়। এলাকার একাধিক লোক বলেছেন যেই খালের উপরে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে সেই খালে ছোট ছোট কিছু মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা ছাড়া বড় কোন জলযান চলাচল করে না। এটি কোন ভারানী খাল না। আমরা এলজিইডি থেকে একাধিকবার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে সেতুটি পরিদর্শন করেছি।

বরগুনা জেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান খান বলেন, সেতুর উচ্চতা কম এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেতুর কাজটি বন্ধ আছে। সরেজমিনে আমি আমার টিম নিয়ে বেশ কয়েকবার সেতুটি পরিদর্শন করেছি। এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। আবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন তাদের এলাকাবাসীর দাবি সেতুর কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। আমি এলজিইডির উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব সেতুর কাজটি পুনরায় শুরু করে সম্পন্ন করার। আমি ঠিকাদারের সাথেও যোগাযোগ করেছি ঠিকাদারও আগ্রহী আছে কাজ করানোর জন্য।।

এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেলেন কক্সবাজারের দেলোয়ার হোসেন সিআইপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫, ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ পেলেন কক্সবাজারের দেলোয়ার হোসেন সিআইপি

বিশেষ প্রতিনিধি:
গতকাল ২ মে, শুক্রবার গ্লোবাল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ফিল্ম স্টার ক্লাব এর যৌথ প্রয়াসে বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজারে একটি অভিজাত রিসোর্টের অডিটোরিয়ামে ‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা, ট্যুরিজম এন্ড ফিল্ম ২০২৫, এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০ গুণীজন কে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে গ্লোবাল এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সালাম মাহমুদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ লুৎফর রহমান কাজল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট এর নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম ফারুক মজনু।

অনুষ্ঠানে মো. গোলাম ফারুক মজনু বলেন বিশ্বব্যাপী সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করে দেশের অর্থনৈতিক, পর্যটন ও বাণিজ্যিক উন্নয়নে ‌দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক পর্যটন ও বাণিজ্যিক শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে আরো বেশি কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের সেরা করদাতা দেলোয়ার হোসেন সিআইপি সহ বিভিন্ন গুণীজনকে পুরস্কার প্রদান করেন এবং আলোচনা শেষে নেপালের শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বরগুনায় আ.লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ
বরগুনায় আ.লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা

বরগুনা প্রতিনিধিঃ

বরগুনায় ২০২৩ সালে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এবং হাতবোমা ফাটিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করায় বরগুনা সদর থানায় মামলা হয়েছে আঃলীগ নেতা কর্মী সহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে। মামলায় আরও একাধিক  অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন বরগুনা আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। মামলায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক বরগুনা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভা মেয়র মতিয়ার রহমান, বেতাগী পৌরসভা মেয়র গোলাম কবির, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, তালতলী উপজেলা পরিষদ রেজবিউল কবির জমাদ্দার সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের ১৫৮ জনকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় ইতিমধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা থানা পুলিশ। গতকাল রাত নয়টার দিকে আমতলী উপজেলার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান বাদলকে অন্য একটি মামলায় জামিন লাভ করে বের হওয়ার পর সামনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বরগুনা থানার  বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা থাকায় এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বাদী এস এম নইমুল ইসলাম অভিযোগ করেন গত ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ আসামিরা শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন পালন করে বরগুনা থেকে বিএনপিকে উৎখাত করতে মিছিল নিয়ে এসে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তার অফিস কক্ষ তছনছ করে। আসবাব পত্র ইলেকট্রনিক্স ইলেকট্রিক্যাল মালামাল ভাংচুর করে সামনের সড়কে স্তুপ করে। এসময় মামলার এজাহার ভুক্ত অন্য আসামীরা গান পাউডার দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে এবং অন্য আসামীরা একাধিক হাতবোমা বিএনপি অফিসে বাহিরে ফাটায়। বাদী  অভিযোগ করেন এসময় তাদের দল সরকার পরিচালনা করায় প্রশাসনের কাছে প্রতিকার পায়নি।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, স্যাবোটাজ বিস্ফোরক আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ তাদের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীর নামে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।