খুঁজুন
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

নিউজ ফাইভ

আইটিপল্লী নিউজ-১ ডেমো নিউজ ফাইভ

অনলাইন ডেস্ক ।।
প্রকাশিত: রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ৩:০৬ অপরাহ্ণ
আইটিপল্লী নিউজ-১ ডেমো নিউজ  ফাইভ

আমি খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে রিয়া। আজ আমার অষ্টম মঙ্গলা। মনটা আমার বেশ খুশি খুশি এটা কখনোই বলতে পারবো না। না, আপনারা যা ভাবছেন ভুল। আপনারা বলবেন বিয়েটা তো আমি নিজেই নিজের ইচ্ছেয় করেছি তাহলে আপত্তিটা কোথায়?

যেটুক খুশি আমায় দেখছেন সেটা আমি বাপের বাড়ি যাচ্ছি বলে শুধু মনটা খুশি। কিন্তু আগামী পরশু আমি আর আমার বর বাবাজীবন যাচ্ছি প্রথমবার একসাথে ঘুরতে থুড়ি মধুচন্দ্রিমা যাপনে। তাই এতো চিন্তা। আসলে অভি আমার ফোনে কথা বলছে না ঠিক মতো সেই বিয়ে দিন থেকে। অথচ ওর কথা বিয়েটা আমি করলাম।

ও হ্যাঁ ভুলেই গেছি, আপনাদের সাথে তো আমার বরের এখনো পরিচয় করাইনি। আমার বর বুবাই দা। আমাদের পরিচয় প্রায় সাত বছর হতে চলল। সেই যখন ক্লাস নাইন আমি যাচ্ছিলাম ঝড়ের বেগে সাইকেল চালিয়ে টিউশন পড়তে। তখন আমি সাইকেল চালানোতে ছেলেদেরও হার মানাই। তো সেই ঝড়ের বেগের সাইকেল এ ধাক্কা লাগলো এক শান্ত সৌম্য নিরীহ ছেলের। সেই ছেলেটিই এই আমার পতিদেব মিস্টার মানব মন্ডল। বিদেশে চাকরি করে কিছু পয়সা-করি করে আজ আমাকে বিয়ে করে জীবনে সবচেয়ে বড় কিছু পাওয়া হয়ে গেছে বলে দাবি করছে।

আজকাল বুবাই হাসতে হাসতে বলে “ধাক্কাটা সেদিন শরীরে লেগেছিল না হৃদয়ে কে জানে”। যাক গে ওর কথা বাদ দিন। তো সেই ঘটনার পর অনেক ওঠানামা আর ভুল বোঝাবুঝি ঠিক বোঝাবুঝির পর আজ আমাদের অষ্টম মঙ্গলা। সে গল্প না হয় আর এক দিন করব। ফিরে আসি আজকের দিনে। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল যে আমি অভি সাথে হানিমুন যাবো পাহাড়ে। আমার এই ‘আপাত শান্ত মনের দুরন্ত’ বর কে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবো।

কিন্তু অভি ফোন ধরছে না কেন? ও বলেছিলো দার্জিলিং যে হোটেলটা ও বুকিং করেছে সেটা ওর বিশেষ জানাশোনা। বুবাই এর গল্পটি ওখানে শেষ করে আমি ওর সম্পত্তিতে রাজ করবো। আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু এখন মনটা মানছে না। একটা মানুষের জীবন শেষ করে দেবো, লোকটা তো আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।

যাক বাঁচা গেলো আজ আমার জন্মদিন। সারপ্রাইজ হিসেবে একটা দলিল উপহার দিয়েছেন বুবাই আমাকে। লাটাগুড়িতে একটা কটেজ কিনেছেন উনি আমার জন্য হানিমুনে যাবো আমরা ওখানেই। সারাদিন বেশ ভালো কাটলো কিন্তু মন খারাপ হলো বিকাল বেলায়।

আমার আর উনার মামাতো বোন অয়ন্তিকার জন্মদিন এক দিনে বিকালে একটা সারপ্রাইজ পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই আমার জন্য ছিলো আরো একটা সারপ্রাইজ। অভি আর অয়ন্তিকার এঙ্গেজমেন্ট। অথচ আমাদের বিয়েতেই ওদের আলাপ। শিল্পপতির মেয়ে বলে বোধহয় অতো তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে অভি।

বাড়ি ফিরে মনটা কিছুতেই ভালো করতে পারলাম না। শুয়ে পরলাম। উনি বললেন “তোমার মোবাইলটা দেবে একটু একটা গেমস খেলবো। দিয়ে দিলাম।” কি ধরণের মানুষ এই লোকটি কে জানে! কি ধাতুর তৈরি কে জানে? আজ উনি অভি আর আমার ঝগড়াটা দেখেছেন। অভি স্পষ্ট বলেছে, আমি বুবাইকে ঠকিয়েছি তাই ও আমাকে ঠকিয়ে কোনো ভুল করেনি।

সকাল বেলায় উঠে আরো একটা সারপ্রাইজ। অভি আয়ন্তিকাও আসলো আমাদের সাথে। দিনটা ভালো কাটলো। মানে আমি চেষ্টা করলাম সব কিছু ভুলে নতুন করে শুরু করতে। অভি বোধহয় আমাকে কোনদিন ভালোবাসে নি। ও বেশ নির্লিপ্ত। অয়ন্তিকাকে খুশি করতে ব্যাস্ত। আয়ন্তিকা হঠাৎ ঠিক করলো বাইক রেসিং করবে। আমি আপত্তি করলাম ঠিকই কিন্তু বুবাই এর ওপর জোর খাটানোর অধিকার বোধহয় আমার হয়নি এখনো। তাই বেশি জোর ফলাতে চাইলাম না। তবে মনে মনে চাইলাম একটা দিনের জন্যে হিরো হোক সবার চোখে।

কিন্তু রেসিং কোন ফল এলোনা। কারণ অভি এক্সিডেন্ট করলো। সন্ধ্যায় অয়ন্তিকা এলো সাথে এলো চাকর ভাবলারাম। জানতে পারলাম ভ্যাবলারাম আসলে অয়ন্তিকার বন্ধু রাজীব সিনহা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। অভির মোবাইল থেকে, আমার ছাড়াও আরো ছয় সাতটি মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও , ছবি ডিলিট করা হয়েছে। যাদেরকে ও নিয়মিত ব্লাকমেইল করতো। অভি হয়তো বাঁচবে না। বেঁচে গেলেও আইনের হাত থেকে ওর রক্ষা নেই, কারণ ওর ব্লেকমেইলের ভয়ে আত্মাহত্যা করছে অয়ন্তিকার বান্ধবি সোনালী। ওর চলে যেতেই বুবাই একটা গোলাপ ফুল নিয়ে আমাকে উপহার দিলো। আর বললো গোলাপটা তুলতে গিয়ে সে নাকি অনেক গুলো কাটার আঘাত পেয়েছেন। সেটা দেখালো। আমি জিজ্ঞেস করলাম “আপনি আমাকে ঠিক কতটা ভালোবাসেন”

ও বললো ” তোমার জন্য আমি জীবন দিতে পারি ,আবার নিতেও পারি।”

আমার চোখে জল এসে গেলো।

বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন ছেলের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৮ অপরাহ্ণ
বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন ছেলের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি।

ইসহাক জুয়েল, বরগুনা।

বাবার মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ দিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সরকারি চাকরি করছেন সহকারী শিক্ষক মৃনাল কান্তি মন্ডল। তিনি তার মৃত পিতাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে জাল সনদের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নলবুনিয়া আগারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

মৃণাল কান্তি মন্ডল বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের হোগলা পাশা গ্রামের মৃত ভবেশ মণ্ডলের পুত্র।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মৃনাল কান্তি মন্ডল নলবুনিয়া আগারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত ০৩/১২/২০১৪ তারিখ যোগদান করে নিয়মিত বেতনভাতা উত্তলন করে আসছেন।

বিষয়ে নলবুনীয়া আগাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এটিএম হারুন বলেন আমার বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মৃণাল কান্তি মন্ডল নামে একজন সহকারী শিক্ষক চাকরি করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে হোগলাপাশা গ্রামের বাসিন্দারা জানান ভবেশ মন্ডল নামে কোন ব্যাক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। নামে আমাদের এলাকায় কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মৃণাল কান্তি মন্ডল বলেন আমার বাবা ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা (সম্মানি) আমার মা উত্তোলন করেন। তার কাছে তার বাবার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সব কাগজপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি আমার কাছে কোন কাগজ নাই। তার কাছে গেজেট নম্বর কত জানতে চাইলে তিনি বলেন এগুলো গোপনীয় বিষয় সবার কাছে বলা যাবে না।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকায় পাথরঘাটা উপজেলায় ২০২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকলেও ভবেশ মন্ডল নামে কোন মুক্তিযোদ্ধার নাম সে তালিকায় পাওয়া যায়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেক মিলিটারী বলেন ভবেশ মন্ডল নামে কোন ব্যাক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি কখনও ভাতাও তুলেননি। তার সন্তানেরা কখনও আমাদের অফিস থেকে কোন প্রত্যয়ন নেননি। নামে আমাদের উপজেলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই।

বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বাশার (চঃ দাঃ) বলেন বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিদ্যালয়ের পুরনো ঐতিহ্য ফিরবে, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী ট্র্যাবের মুখপাত্র আবিদ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
বিদ্যালয়ের পুরনো ঐতিহ্য ফিরবে, প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাবর্তনে আশাবাদী ট্র্যাবের মুখপাত্র আবিদ

চট্টগ্রামের হালিশহরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় অবশেষে ফিরে পেল তার যোগ্য প্রধান শিক্ষককে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মামলা ও বিভিন্ন জটিলতার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম অবশেষে নিজের চেয়ারে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন।

 

গত ৫ বছর আগে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামকে বিভিন্ন অভিযোগ ও দুর্নীতির দায়ে জোরপূর্বক স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আদালতের রায় তার পক্ষেই যায় এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডও তার নির্দোষ থাকার প্রমান পায়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে তিনি পুনরায় তার দায়িত্ব গ্রহণের অনুমতি পান।

 

টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ডিএমসিআরএস এর মুখপাত্র মুহাম্মদ আবু আবিদ এই ঘটনাকে বিদ্যালয়ের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয় মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য যে মুহাম্মদ আবু আবিদ এই বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাশ করেছেন।

 

নিজের প্রিয় বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মুহাম্মদ আবু আবিদ। তবে তার আবেগ আরও গভীর হয়ে ওঠে, যখন তিনি জানতে পারেন যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম সকল অভিযোগের বিপরীতে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করে অবশেষে তার ন্যায্য আসনে ফিরে এসেছেন। একসময় যে শিক্ষক ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান, আজ পাঁচ বছর পর তিনি ফিরে এসেছেন তার যথার্থ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে—এই সংবাদ মুহাম্মদ আবু আবিদের হৃদয়ে এক অনন্য অনুভূতির সৃষ্টি করে।

 

এসময় মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন ” যোগ্য শিক্ষক তার নিজ আসনে ফিরে পাওয়াটা শুধু একজন শিক্ষকের জয় নয়, এটি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায়ের জয়। গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় আবারও সঠিক নেতৃত্বে পরিচালিত হবে বলে আমি আশাবাদী। আমি এই বিদ্যালয়ে পরপর দুইবার নির্বাচিত স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট সভাপতি ছিলাম। তাই খুব কাছ থেকে স্যারের নেতৃত্ব দেখার সুযোগ হয়েছে। আমি নিশ্চিত খুব তাড়াতাড়ি গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয় পুনরায় একটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে।

 

এ বিষয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর কতটা যন্ত্রণা সহ্য করেছি তা বলার ভাষা আমার নেই। আমার সন্তানদের কাছ থেকে বিনা অপরাধে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। এটাই আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হত। আজ আমি আনন্দিত, আমার সকল সন্তানদের আবারও কাছে পেয়েছি। তবে মুহাম্মদ আবু আবিদ বিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ই বিদ্যালয়ের নাম দেশের কাছে যেভাবে উজ্জ্বল করেছে, দিনকে দিন যত যাচ্ছে তার সাফল্যে আমরা গর্বিত হই। তিনি আজ আমাদের বিদ্যালয় এসেছেন, তাতে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল ও উল্লসিত।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক আঁখি সুলতানা, দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিল, বিএমইউজে এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন, সাংবাদিক নেতা শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক সাইফ উদ্দিন রমিজ, সাংবাদিক সাফায়েত মোর্শেদসহ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক সংগঠক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

 

বিদ্যালয়ের অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের ফিরে আসার খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন, বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মো. রফিকুল ইসলামের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরাও প্রধান শিক্ষককে ফিরে পেয়ে আনন্দিত। তারা বিশ্বাস করে, নতুনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং বিদ্যালয় আবারও তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাবে।

বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২৪ পেলেন আব্দুল মান্নান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৫০ অপরাহ্ণ
বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২৪ পেলেন আব্দুল মান্নান

সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দ্যা ফ্রেন্ডশিপ ট্যুর এন্ড ট্রাভেলসের কর্ণধার আব্দুল মান্নান বিজিসি অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ এ ভূষিত হয়েছেন।

গতকাল বাংলাদেশ গ্রিন লিফ কালচারাল ফোরাম ও গ্রিন লিভ ম্যাগাজিনের যৌথ উদ্যোগে রাজধানী ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজিসি অ্যাওয়ার্ড সিজন-৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন ম্যাজিশিয়ান, বংশীবাদক জুয়েল আইচ। অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামমিট এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক মজনু।

অনুষ্ঠানের উদ্ভোধনী বক্তব্যে মোঃ গোলাম ফারুক মজনু বলেন, বেঁচে থাকার মাঝেই মানুষ জড়িয়ে পড়ে কেউ সুকর্মে, কেউ আবার কুকর্মে। কর্ম গুনে কেউ হয় বাবুর্চি, কেউ আবার হয় হিরোইনচি। হিরোইনচি বলা হয় একজন নেশাখোর মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে। মাদকাসক্তি নিরাময়ে সেলিব্রিটিদের এগিয়ে আসতে হবে। এখানে দেশের অনেক সেলিব্রিটিরা উপস্থিত হয়েছেন। আপনাদেরকে মানুষ ফলো করেন। তাই আপনাদের বক্তব্য কিংবা আপনাদের পরামর্শ সাধারণ মানুষ সাদরে গ্রহন করবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

সম্মাননা প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান উপস্থিত সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “যেকোনো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত হলে সেটা অবশ্যই ভালো লাগে। এতে করে কাজের প্রতি ভালোবাসা, ভালো লাগা ও দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়। কোনো নির্দিষ্ট গতিতে নিজেকে আটকে আর রাখতে চাই না। সব সময় মানব সেবার কথা মাথায় রেখে কাজ করি। ভবিষ্যতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ভালোবেসা অর্জন করতে চাই।”

২০২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ৫০ টি ক্যাটাগরিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও সেরা গায়ক হিসেবে পুরস্কার পান বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মনির খান, গুনী সিনিয়র অভিনয় শিল্পী অঞ্জনা, জনপ্রিয় চিত্র নাইকা অপু বিশ্বাস, চিত্র নাইকা তমা মির্জা, চিত্র নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দিঘি, চিত্র নায়ক ইমন, অভিনয় শিল্পী রুনা খান, অভিনয় শিল্পী কুসুম সিকদার, অভিনয় শিল্পী সখ, অভিনয় শিল্পী পারসানা ইভানা, অভিনয় শিল্পী সাইদুর রহমান পাভেল, জনপ্রিয় শিশু শিল্পী সিমরিন লুবাবা, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা, নৃত্য শিল্পী ইভান শাহরিয়ার সোহাগ, কোরিয়ার, ট্রেনার বুলবুল টুম্পা, ফ্যাশন মডেল সৈয়দ রুমা, ব্রান্ড প্রোমোটার বারিশ হক, ইনফ্লুয়েঞ্জার সানজিদা সায়মা, উদ্যোক্তা তাসলিমা ইসলাম, অর্গানাইজার উর্মী ইসলাম সহ বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।