০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাসানীর গণমানুষের মুক্তি সংগ্রামের আলোকবর্তিকা : ডা. জসিম তালুকদার

  • Golam Faruk
  • প্রকাশিত: ০৩:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
  • 67

বাংলাদেশ ন্যাপ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসিম তালুকদার উপমহাদেশ তথা বাংলার কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নয়নমণি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সারা জীবনই যার সংগ্রাম ছিল মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দলের জেলা কার্যালয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাবলেন।

প্রধান অতিথি ডা. জসিম তালুকদার আরো বলেন, অনেক নেতাদের নেতা মওলানা ভাসানী তথাকথিত প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, তিনি উচ্চতর ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। আধ্যাত্মিক শিক্ষায় তার অন্তর ছিল পরিপূর্ণ। ভারতের ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র হয়েও তিনি ছিলেন মুক্তিকামী ও খেটে খাওয়া মানুষের নেতা।

তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী প্রগতিশীল ধারার রাজনীতি ধারণ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে মওলানা ভাসানী সর্বভারতীয় রাজনীতি, জাতীয় কংগ্রেস দল, খিলাফত আন্দোলন এবং মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনেরও নেতাতে পরিণত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শেষ করেননি তিনি, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসক শ্রেণির হাত থেকে গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ— যার পরবর্তী রূপ হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি তিনি দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন।

বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সিনিয়র সহসভাপতি মাষ্টার মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও মওলানা মীর আব্দুল মালেক কুতুবীর উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক এডভোকেট ফজল আকবর জয়নুল আবেদীন বেলাল চৌধুরী, বাঁশখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল আমিন তালুকদার , যুগ্ম সম্পাদক মীর মওলানা আবদুল মালেক কুতুবী, আইন বিষয়ক সম্পাদক চিকিৎসক প্রদ্যুৎ কান্তি দেব, সদস্য আবদুল মালেক ও প্রণব কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র রুহের মাগফেরাত কামনা ও বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

Golam Faruk

জনপ্রিয়

আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত।

ভাসানীর গণমানুষের মুক্তি সংগ্রামের আলোকবর্তিকা : ডা. জসিম তালুকদার

প্রকাশিত: ০৩:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ ন্যাপ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জসিম তালুকদার উপমহাদেশ তথা বাংলার কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আজীবন গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নয়নমণি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সারা জীবনই যার সংগ্রাম ছিল মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দলের জেলা কার্যালয়ে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাবলেন।

প্রধান অতিথি ডা. জসিম তালুকদার আরো বলেন, অনেক নেতাদের নেতা মওলানা ভাসানী তথাকথিত প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, তিনি উচ্চতর ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। আধ্যাত্মিক শিক্ষায় তার অন্তর ছিল পরিপূর্ণ। ভারতের ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্র হয়েও তিনি ছিলেন মুক্তিকামী ও খেটে খাওয়া মানুষের নেতা।

তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিরোধী প্রগতিশীল ধারার রাজনীতি ধারণ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ের অগ্রগতির সাথে সাথে মওলানা ভাসানী সর্বভারতীয় রাজনীতি, জাতীয় কংগ্রেস দল, খিলাফত আন্দোলন এবং মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনেরও নেতাতে পরিণত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই শেষ করেননি তিনি, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর শাসক শ্রেণির হাত থেকে গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ— যার পরবর্তী রূপ হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি তিনি দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন।

বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সিনিয়র সহসভাপতি মাষ্টার মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও মওলানা মীর আব্দুল মালেক কুতুবীর উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক এডভোকেট ফজল আকবর জয়নুল আবেদীন বেলাল চৌধুরী, বাঁশখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ও যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল আমিন তালুকদার , যুগ্ম সম্পাদক মীর মওলানা আবদুল মালেক কুতুবী, আইন বিষয়ক সম্পাদক চিকিৎসক প্রদ্যুৎ কান্তি দেব, সদস্য আবদুল মালেক ও প্রণব কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র রুহের মাগফেরাত কামনা ও বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া’র সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।