০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লঞ্চে আগুন: নদীর পাড়ে নিহতদের গণকবর

  • Golam Faruk
  • প্রকাশিত: ১০:০০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • 91

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত ২৭ জনের মরদেহ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পোটকাখালী গণকবরে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত ৩০ জনের গণ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই তিনজনের কফিন স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বরগুনার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭ জনের মরদেহ ঝালকাঠি হাসপাতালের মর্গ থেকে বরগুনা নিয়ে আসা হয়। রাতেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এর মধ্যে মোট ১০ জনের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। বাকি ২৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের গণকবর দেওয়া হলো। তিনি আরও জানান, অজ্ঞাতদের ময়নাতদন্ত শেষে ডিএনএ সংরক্ষণ করেছে ফরেনসিক বিভাগ। পরবর্তীতে যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছে তাদের ডিএনএ নিয়ে মেলানো হবে। এরপর যাদের সঙ্গে মিলে যাবে তাদের স্বজনরা ইচ্ছে করলে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যেতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিলো ৮০০ থেকে এক হাজার জন।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

Golam Faruk

নিজের চাটুকারিতার কথা স্বীকার করে যা বললেন জয়

লঞ্চে আগুন: নদীর পাড়ে নিহতদের গণকবর

প্রকাশিত: ১০:০০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত ২৭ জনের মরদেহ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পোটকাখালী গণকবরে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত ৩০ জনের গণ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। ওই তিনজনের কফিন স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বরগুনার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭ জনের মরদেহ ঝালকাঠি হাসপাতালের মর্গ থেকে বরগুনা নিয়ে আসা হয়। রাতেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এর মধ্যে মোট ১০ জনের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। বাকি ২৭ জনের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের গণকবর দেওয়া হলো। তিনি আরও জানান, অজ্ঞাতদের ময়নাতদন্ত শেষে ডিএনএ সংরক্ষণ করেছে ফরেনসিক বিভাগ। পরবর্তীতে যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছে তাদের ডিএনএ নিয়ে মেলানো হবে। এরপর যাদের সঙ্গে মিলে যাবে তাদের স্বজনরা ইচ্ছে করলে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যেতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিলো ৮০০ থেকে এক হাজার জন।