![](https://agragaminews.com/wp-content/plugins/Epaper view by Nagorikit.com/assest/img/print-news.png)
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তুরস্কে ৯১২ জন এবং সিরিয়ায় ৫৯২ জন মারা গেছেন। দুই দেশে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১৫০৪ জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া শত শত মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়া—উভয় দেশের ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এ ছাড়া এই ভূমিকম্পে দুই দেশে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৩ জন।
তিনি বলেন, শহরগুলোর ‘ব্যাপক ধ্বংস’ হয়েছে। প্রায় ২,৮১৮টি ভবনধসে গেছে। আশা করি এক সঙ্গে আমরা এ বিপর্যয় শিগগিরই কাটিয়ে উঠতে পারব।
এদিকে, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, ভূমিকম্পে দেশটির গাজিয়ানটেপ ও কাহরামানমারস প্রদেশের প্রায় ৯০০ ভবন ধ্বংস হয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর ইস্কান্দারউনে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি।
তুরস্ক ও সিরিয়া—উভয় দেশের ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ভূমিকম্পের এই সংকটকালে আমরা কঠোর আবহাওয়ারও মোকাবিলা করছি।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৩৭১ জন নিহত হয়েছেন এবং ৬৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অন্তত ২২১ জন নিহত হয়েছেন।
গার্ডিয়ান জানায়, সিরিয়ার আলেপ্পো ও হামা শহর থেকে তুরস্কের দিয়ারবাকির পর্যন্ত উত্তর-পূর্বে ৩৩০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত এলাকার ভবনগুলো ভূমিকম্পে ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প দেশ দুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।