ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমসি কলেজে ধর্ষণ : হাই কোর্টের রায় আগামীকাল

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হাই কোর্টের জারি করা রুলের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল।

বুধবার (২ জুন) হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এক গৃহবধূ। এরপর পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ওসিসিতে তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

এ ঘটনার পর সিলেটসহ সারাদেশে তোলপাড় শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে চালায়। র‌্যাব-৯ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া সিলেট জেলা পুলিশ দুজনকে, সুনামগগঞ্জ ও হবিগঞ্জ পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর আট আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।

রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রাজন ও আইনুলও জবানবন্দি দেন।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রিয়

এমসি কলেজে ধর্ষণ : হাই কোর্টের রায় আগামীকাল

প্রকাশিত: ০৮:০৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হাই কোর্টের জারি করা রুলের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল।

বুধবার (২ জুন) হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া এক গৃহবধূ। এরপর পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ওসিসিতে তিনদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মহানগরের শাহপরান থানায় ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

এ ঘটনার পর সিলেটসহ সারাদেশে তোলপাড় শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে চালায়। র‌্যাব-৯ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া সিলেট জেলা পুলিশ দুজনকে, সুনামগগঞ্জ ও হবিগঞ্জ পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর আট আসামিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তারা। জবানবন্দিতে প্রধান আসামি সাইফুর, তারেক, রনি ও অর্জুন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।

রবিউল ও মাহফুজুর ধর্ষণে সহায়তা করার কথা স্বীকার করেন। সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রাজন ও আইনুলও জবানবন্দি দেন।