ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে ইতালি

  • Golam Faruk
  • প্রকাশিত: ১২:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • 53

ছবি : টুইটার

প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ধারার বিপরীতে ফেদ্রিকো চিয়েসার গোলে জেগে উঠে ইতালি। তবে তাদের হাসি বেশি সময় ধরে রাখতে দেননি স্পেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামা আলবেরো মোরাতা। অতিরিক্ত সময়ে পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ব্যবধান গড়ে দিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে আজ্জুরিরা। এ নিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত তারা।

আজ মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে টুর্ণামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ১-১ গোলে ড্র হয়।এরপর অতিরিক্ত সময়েও গোল না হলে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে রবের্তো মানচিনির শিষ্যরা।

প্রথমার্ধে দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। ২৫তম মিনিটে দানি ওলমোর শট প্রতিহত করেন ইতালির গোলরক্ষক দোনারুমা। আট মিনিটের ব্যবধানে ইতালির পোস্ট লক্ষ্য করে আবারও শট নেন ওলমো। যদিও বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। দু’দলের দুর্দান্ত লড়াইয়ে গোল পায়নি কেউই। গোল শূন্য বিরতিতে যায় উভয়। যদিও বল দখলে আধিপত্য ছিল স্পেনের।

বিরতির পর কাউন্টারের খেলতে থাকে আজ্জুরিরা। ৬০তম মিনিটে কাউন্টার থেকে দারুণ এক গোলে ইতালিকে এগিয়ে নেন ফেদ্রিকো চিয়েসা। দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান জুভেন্টাসের এই তারকা ফরোয়ার্ড।

পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফিরতে পারতো স্পেন। জড়ালো আক্রমণে সতীর্থের কাছ থেকে পাস পেয়েও হেড নিতে পারেনি ওয়ার্জাবাল।

৬২তম মিনিটে মাঠে নামেন আলবেরো মোরাতা। ১৮ মিনিট পরই স্পেনকে সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড। দারুণ এক কাউন্টারের ওলমোর ক্রস থেকে বল সহজে জালে জড়ান জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড। ইউরোতে এটি তার পঞ্চম গোল। ফার্নান্দো তোরেসের সঙ্গে সমান সংখ্যক গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্প্যানিশ হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।

নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়াতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৮তম মিনিটের মাথায় ব্যবধানে বাড়াতে পারতো স্পেন। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে জমাট রক্ষণের বাধায় ব্যর্থ হন মোরাতা-পেদ্রিরা।

১০৯তম মিনিটে স্পেনের জালে ইতালি বল জড়ালেও অফসাইডে তা বাতিল করেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ের নির্ধারিত সময়েও গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মানচিনির শিষ্যরা।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

Golam Faruk

জনপ্রিয়

টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ফাইনালে ইতালি

প্রকাশিত: ১২:৪০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ধারার বিপরীতে ফেদ্রিকো চিয়েসার গোলে জেগে উঠে ইতালি। তবে তাদের হাসি বেশি সময় ধরে রাখতে দেননি স্পেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামা আলবেরো মোরাতা। অতিরিক্ত সময়ে পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ব্যবধান গড়ে দিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে আজ্জুরিরা। এ নিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত তারা।

আজ মঙ্গলবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে টুর্ণামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ১-১ গোলে ড্র হয়।এরপর অতিরিক্ত সময়েও গোল না হলে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে উঠে রবের্তো মানচিনির শিষ্যরা।

প্রথমার্ধে দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলে। ২৫তম মিনিটে দানি ওলমোর শট প্রতিহত করেন ইতালির গোলরক্ষক দোনারুমা। আট মিনিটের ব্যবধানে ইতালির পোস্ট লক্ষ্য করে আবারও শট নেন ওলমো। যদিও বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। দু’দলের দুর্দান্ত লড়াইয়ে গোল পায়নি কেউই। গোল শূন্য বিরতিতে যায় উভয়। যদিও বল দখলে আধিপত্য ছিল স্পেনের।

বিরতির পর কাউন্টারের খেলতে থাকে আজ্জুরিরা। ৬০তম মিনিটে কাউন্টার থেকে দারুণ এক গোলে ইতালিকে এগিয়ে নেন ফেদ্রিকো চিয়েসা। দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান জুভেন্টাসের এই তারকা ফরোয়ার্ড।

পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফিরতে পারতো স্পেন। জড়ালো আক্রমণে সতীর্থের কাছ থেকে পাস পেয়েও হেড নিতে পারেনি ওয়ার্জাবাল।

৬২তম মিনিটে মাঠে নামেন আলবেরো মোরাতা। ১৮ মিনিট পরই স্পেনকে সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড। দারুণ এক কাউন্টারের ওলমোর ক্রস থেকে বল সহজে জালে জড়ান জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড। ইউরোতে এটি তার পঞ্চম গোল। ফার্নান্দো তোরেসের সঙ্গে সমান সংখ্যক গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্প্যানিশ হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি।

নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়াতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৮তম মিনিটের মাথায় ব্যবধানে বাড়াতে পারতো স্পেন। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে জমাট রক্ষণের বাধায় ব্যর্থ হন মোরাতা-পেদ্রিরা।

১০৯তম মিনিটে স্পেনের জালে ইতালি বল জড়ালেও অফসাইডে তা বাতিল করেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ের নির্ধারিত সময়েও গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে মানচিনির শিষ্যরা।