ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়ের শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার পথেই আগুনে পুড়ে মারা গেল মনোয়ারা

  • Golam Faruk
  • প্রকাশিত: ০৯:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • 80

বরগুনার ঢলুয়ান ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে মেয়ের শ্বশুর বাড়ী বেড়ানোর উদ্দোশ্য বৃহস্পতিবার ছেলে, ছেলের বউ আর ৩নাতি নিয়ে সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দোশ্য অভিযান-১০ লঞ্চের যাত্রী হন মনোয়ারা বেগম (৬০)। মনোয়ারা বেগমের বেয়াই হাসেম সর্দারের বাড়ী বেড়াতে না পারলেও বেয়াই বাড়ীতে চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন মনোয়ারা বেগম, ছেলের স্ত্রী (২৪) ও নাতনি অহনা (৫)। নিখোঁজ রয়েছে নাতি ইমন (১২) ও জীবন (৮)।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে রাজধানীতে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগমের ছেলে কালু (৩০)। মনোয়ারা বেগমের ছেলে মুকুল আজ জানাজা শেষে দাফনের পূর্ব মূহুর্তে মা, ভাইর স্ত্রী ও ভাইজির মৃত্যুদেহ শনাক্ত করেন। এসময় কবরস্থান এলাকায় আগতদের চোখও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এসময় দাফন বাবদ তার হাতে ৭৫ হাজার টাকা তুলে দেন।

মনোয়ারা বেগমের ছেলে মুকুল বলেন, ১৫ বছর পূর্বে আমাদের বোনের বরগুনায় বিয়ে হয়। আমাদের বাড়ী মাদারীপুর হলেও আমরা মা’কে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করি। লঞ্চে আগুন লাগার পর থেকে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি আসি। দাফনের আগেই ৩জনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। শনিবার সন্ধা ৬ টায় মনোয়ারা বেগম, তার ছেলের স্রী ও নাতির দিত্বীয় জানাজা শেষে হাসেম সর্দারের বাড়ীর পারিবারিক কবর স্হানে ৩জনকে দাফন করা হয়।

বিষয় :
প্রতিবেদক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

Golam Faruk

জনপ্রিয়

মেয়ের শ্বশুর বাড়ী যাওয়ার পথেই আগুনে পুড়ে মারা গেল মনোয়ারা

প্রকাশিত: ০৯:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

বরগুনার ঢলুয়ান ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে মেয়ের শ্বশুর বাড়ী বেড়ানোর উদ্দোশ্য বৃহস্পতিবার ছেলে, ছেলের বউ আর ৩নাতি নিয়ে সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দোশ্য অভিযান-১০ লঞ্চের যাত্রী হন মনোয়ারা বেগম (৬০)। মনোয়ারা বেগমের বেয়াই হাসেম সর্দারের বাড়ী বেড়াতে না পারলেও বেয়াই বাড়ীতে চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন মনোয়ারা বেগম, ছেলের স্ত্রী (২৪) ও নাতনি অহনা (৫)। নিখোঁজ রয়েছে নাতি ইমন (১২) ও জীবন (৮)।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে রাজধানীতে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগমের ছেলে কালু (৩০)। মনোয়ারা বেগমের ছেলে মুকুল আজ জানাজা শেষে দাফনের পূর্ব মূহুর্তে মা, ভাইর স্ত্রী ও ভাইজির মৃত্যুদেহ শনাক্ত করেন। এসময় কবরস্থান এলাকায় আগতদের চোখও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান এসময় দাফন বাবদ তার হাতে ৭৫ হাজার টাকা তুলে দেন।

মনোয়ারা বেগমের ছেলে মুকুল বলেন, ১৫ বছর পূর্বে আমাদের বোনের বরগুনায় বিয়ে হয়। আমাদের বাড়ী মাদারীপুর হলেও আমরা মা’কে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করি। লঞ্চে আগুন লাগার পর থেকে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি আসি। দাফনের আগেই ৩জনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। শনিবার সন্ধা ৬ টায় মনোয়ারা বেগম, তার ছেলের স্রী ও নাতির দিত্বীয় জানাজা শেষে হাসেম সর্দারের বাড়ীর পারিবারিক কবর স্হানে ৩জনকে দাফন করা হয়।